কারুর ভাদ্র মাস কারো সর্বনাশ প্রত্যক্ষ প্রমাণ  গাজা


newsagartala24.com Images

আগরতলা, Dec 31, 2023, ওয়েব ডেস্ক থেকে 2023


বাংলা একটি প্রবাদ আছে। কারুর ভাদ্র মাস কারো সর্বনাশ প্রত্যক্ষ প্রমাণ  গাজা অবশেষে হাজারো ঘাত-প্রতিঘাত, আনন্দ-উল্লাসের স্মৃতিতে বিদায় নিল ২০২৩। নতুন আশা-স্বপ্ন নিয়ে শুরু হলো ২০২৪। হারিয়ে যাওয়া বছরের দুঃখ-দুর্দশা ভুলে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে দেশে-দেশে চলছে বর্ষবরণের আনন্দ। বর্ণিল সাজে সেজেছে শহরগুলোর রাস্তাঘাট-অলিগলি। আতশবাজি, কুচকাওয়াজ, গান-নাচে মেতে উঠেছে গোটা বিশ্ব জনপদ।

তবে আনন্দ-উল্লাসের এই দিনেও শোকের কালো ছায়ায় ছেয়ে গেছে গাজার আকাশ।ধ্বংসযজ্ঞ, অভাব, অনিশ্চয়তা এবং স্বজন হারানো বেদনায় শোকে পাথর অবরুদ্ধ অঞ্চলটির প্রতিটি বাসিন্দা। বছরের শেষ দিনটিতেও গাজায় হামলা বন্ধ করেনি নৃঃশংস ইসরাইলি বাহিনী। আতশবাজি দূরের কথা, হয়তো নতুন বছরটিও শুরু হতে পারে ইসরাইলে ভয়ংকর হোয়াইট ফসফরাস বোমা বা ট্যাংক-বন্দুকের গুলিতে! এএফপি, বিবিসি, সিএনএন।আগের দিন দুপুর থেকেই বর্ষবরণের আমেজ দেখা গেছে বেশ কয়েকটি দেশে। বিশ্বের প্রায় আট বিলিয়নেরও বেশি মানুষ পুরোনোকে ভুলে নতুনকে বরণ করে নিচ্ছে আজ। অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া, নেপাল, ইন্ডিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশে বেশ ঘটা করেই পালন করা হয়েছে দিনটি। তবে আতশবাজির আওয়াজ ও বর্ষবরণের উৎসবে প্রথম মেতে উঠে নিউজিল্যান্ড। অকল্যান্ড শহরের বিখ্যাত স্কাই টাওয়ারকে ঘিরে জড়ো হয়েছে কয়েক হাজার মানুষ।  শুধু গাজাতেই ছিল ভিন্ন চিত্র। গোটা বর্ষ নতুন বছরের আনন্দে মাতলেও এদিনও লাশের স্রোতে ভেসেছে গাজা। বছরের অন্তিম দিনেও মৃতের সংখ্যা ছিল ১৫০ জন। অধিকৃত পশ্চিম তীর থেকে গ্রেফতার করা হয় ১৬ জনকে। সব মিলিয়ে ২০২৩ সালে ইসরাইলের সহিংসতায় গাজায় প্রাণ হারিয়েছে ২২ হাজার এবং আহতের সংখ্যা ৫৬ হাজার ৪৫১ জন। জাতিসংঘ অনুমান অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত গাজায় প্রায় দুই মিলিয়ন বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়েছে যা মোট জনসংখ্যার প্রায় ৮৫ শতাংশ।