নোয়াখালীর সুবর্ণচরে মা-মেয়েকে দলবদ্ধ ধর্ষণ


newsagartala24.com Images

আগরতলা, Feb 08, 2024, ওয়েব ডেস্ক থেকে 2023


নোয়াখালীর সুবর্ণচরে মা-মেয়েকে দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলার সদ্য বহিষ্কৃত আওয়ামী লীগ নেতা আবুল খায়েরের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। এছাড়া এ মামলায় হারুন নামে আরেক আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মামলার প্রধান আসামি চর ওয়াপদা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাবেক ইউপি সদস্য আবুল খায়ের ওরফে মুন্সী মেম্বারকে আদালতে উপস্থাপন করে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বুধবার সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে নোয়াখালী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।, পুলিশ জানিয়েছে, আসামি গরু বেপারী হারুনকে বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ভোররাতে ঢাকার গাবতলী থেকে গ্রেফতার করে নোয়াখালী ও ঢাকা পুলিশের একটি যৌথ দল। তার কাছ থেকে ভিকটিমের কানের দুল উদ্ধার করা হয়।

হারুন (৪২) চরওয়াপদা ইউনিয়নের চরকাজী মোখলেছ গ্রামের মৃত বশির আহম্মদের ছেলে।হারুন এ মামলার এজাহারভুক্ত ২ নম্বর আসামি। ঘটনার পর তিনি বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে বেড়ান। এমনকি যশোর সীমান্ত দিয়ে একবার ভারতে পালিয়ে যাওয়ারও চেষ্টা করেন। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনার পর থেকে পুলিশ তার গতিবিধি নজরে রাখে। এনিয়ে এ মামলার তিন আসামি সবাইকে গ্রেফতার করে পুলিশ। নিশ্চিত করেছেন নোয়াখালী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বেগমগঞ্জ সার্কেল) নাজমুল হাসান রাজীব।

গত সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ২টার দিকে চরওয়াপদা ইউনিয়নে চরকাজী মোখলেছ গ্রামের একটি নতুন বাড়িতে সিঁদ কেটে এক গৃহবধূ (৩০) ও তার শিশুকন্যাকে (১২) ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘর থেকে দুটি নাকফুল, কানের দুল এবং নগদ ১৭ হাজার ২২৫ টাকা লুট করে নিয়ে যায়।

 ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী বাদি হয়ে আবুল খায়ের মুন্সী ও মো: হারুনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত এক ব্যক্তিকে আসামি করে সিঁদ কেটে ঘরে প্রবেশ, পরস্পর সহযোগিতায় গণধর্ষণ, ভয়ভীতি প্রদর্শনের অপরাধে চরজব্বার থানায় মামলা দায়ের করেন। 

ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামী পেশায় একজন দিনমজুর। তাকে কাজের জন্য প্রায়ই বাইরে থাকতে হয়। তিনি তিন-চার দিন পর পর বাড়িতে আসেন। ভুক্তভোগী গৃহবধূর ভাষ্যমতে, এ সুযোগে গত সোমবার দিবাগত রাত পৌনে ২টা থেকে ২টার মধ্যে তার বসতঘরে সিঁধ কেটে ঢুকে তাকে এবং তার মেয়েকে ধর্ষণ করে তিনজন। এর মধ্যে তাকে ধর্ষণ করে দুজন এবং তার মেয়েকে ধর্ষণ করে একজন।

নির্যাতিতার স্বামী জানান, মুন্সী মেম্বার বিপদ-আপদে পড়লে সহযোগিতার চেষ্টা করতেন। কিছু দিন আগে তার স্ত্রীকে পোড়া মোরগ খাওয়ানোর প্রস্তাব দেন। কিন্তু তার স্ত্রী ওই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় মুন্সী মেম্বার তার মোবাইল ফোন নম্বর সংগ্রহ করে ফোন করে উক্ত্যত করতেন। পরে মোবাইল নম্বর ব্লক করে দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। এসব ঘটনার জের ধরে ক্ষিপ্ত হয়ে এ ঘটনা ঘটান।

মামলার পর মঙ্গলবার দুপুরে জেলা শহর থেকে আবুল খায়ের মুন্সীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে সেদিন রাতে চরক্লার্ক ইউনিয়ন থেকে মেহেরাজকে গ্রেফতার করা হয়। 
 

 

 

 

 

 

 

 

 

                                                                                                            সংগ্রহ

(দৈনিক সংগ্রাম)

বাংলাদেশ প্রতিনিধি