পাখির চোখ ২০৪১! ঝুলিতে ১০ মউ চুক্তি নিয়ে দিল্লি থেকে ঢাকায় ফিরলেন হাসিনা


newsagartala24.com Images

Agartala, Jun 23, 2024, ওয়েব ডেস্ক থেকে


ঢাকা: দু’দিনের ভারত সফর শেষে ঢাকায় ফিরলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তৃতীয়বারের জন্য নরেন্দ্র মোদীর শপথগ্রহণের পর এটাই ছিল হাসিনার প্রথম ভারত সফর। দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দুই দেশের রাষ্ট্রনেতার মধ্যে বৈঠক হয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য জল বণ্টন, নিরাপত্তা ও দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সংক্রান্ত ইস্যু। শনিবার স্থানীয় সময় সাড়ে ৮টা নাগাদ বিশেষ বিমানে দিল্লি থেকে ঢাকার হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরে ফেরেন শেখ হাসিনা।

বাংলাদেশে ফিরে শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, “উভয় দেশই একটি শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের দিকে পথ দেখানোর জন্য আগ্রহী। টেকসই ভবিষ্যতের জন্য ‘ডিজিটাল অংশীদারিত্ব’ এবং ‘সবুজ অংশীদারিত্বকে’ সামনে রেখে কাজ করতে দু’পক্ষই সম্মত হয়েছি।” দিল্লি থেকে ফিরে ভারতকে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্রতিবেশী ও বিশ্বস্ত বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করে হাসিনা বলেন, “১৯৭১ সালে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে সৃষ্ট সম্পর্ককে বাংলাদেশ সবসময়ই বিশেষ গুরুত্ব দেয়। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক ক্রমাগত বিকশিত এবং দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে।” ঢাকায় ফিরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা আমাদের দু’দেশের এবং জনগণের কল্যাণের জন্য আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করার বিষয়ে সম্মত হয়েছি।”

উল্লেখ্য, এবারের ভারত সফরে শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী ছিলেন তাঁর উপদেষ্টা সলমন এফ রহমান। তাঁর কথায়, এবারের সফর ও চুক্তিসমূহ ভারত-বাংলাদেশের সুসম্পর্ককে আরও দৃঢ় করবে। বাংলাদেশিদের জন্য ই-মেডিক্যাল ভিসা চালুর যে ঘোষণা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী করেছেন, তা এবারের সফরের উল্লেখযোগ্য সাফল্য হিসেবেও দেখছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা। এবারের ভারত-সফরকালে মোদী-হাসিনার বৈঠকে মোট ১০টি মৌ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। তার মধ্যে সাতটি নতুন মউ চুক্তি এবং তিনটি মউ চুক্তির পুনর্নবীকরণ হয়েছে।

ভারতে ফের একবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বে এসেছেন নরেন্দ্র মোদী। বাংলাদেশেও এই বছরেই শুরুর দিকে ভোট ছিল। পদ্মাপারেও ফের একবার ক্ষমতায় এসেছে হাসিনার আওয়ামি লিগ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যেমন ‘ভিশন বিকশন ভারত ২০৪৭’-এর লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছেন, পদ্মাপারে হাসিনাও ‘রূপকল্প ২০৪১’-কে টার্গেট করে এগোচ্ছেন। দিল্লি ও ঢাকার এই আগামীর ভাবনা ও নতুনভাবে পথ চলা শুরু নিয়ে হাসিনা বলেন, “আমরা ‘রূপকল্প-২০৪১’ এর মাধ্যমে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠা এবং ‘বিকশিত ভারত ২০৪৭’ অনুসরণ নিশ্চিত করার জন্য ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নির্ধারণ করেছি।”