৩০০ টাকার গয়না বেচল ৬ কোটিতে! ভারতে এসে মাথা চাপরাচ্ছেন মার্কিন মহিলা


newsagartala24.com Images

Agartala, Jun 11, 2024, ওয়েব ডেস্ক থেকে


জয়পুর: যে গয়নার দাম মাত্র ৩০০ টাকা। তাই, এক মার্কিন মহিলাকে ৬ কোটি টাকায় বিক্রি করেছিল রাজস্থানের এক গয়না ব্যবসায়ী। ২০২২-এই সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই গয়না ব্যবসায়ীর সঙ্গে আলাপ হয়েছিল প্রতারিত মার্কিন মহিলার। গত দুই বছর ধরে চলছিল এই প্রতারণা কারবার। কিন্তু, চলতি বছরের এপ্রিলে মার্কিন মহিলা জানতে পারেন সোনা বলে তাঁকে নকল গয়না বিক্রি করা হচ্ছিল। তারপরই তিনি সোজা উড়ে এসেছেন ভারতে। সাহায্য চেয়েছেন স্থানীয় পুলিশ, এমনকি মার্কিন দূতাবাসেরও। প্রাথমিকভাবে, প্রতারণার কথা অস্বীকার করলেও, থানা-পুলিশ করার পর আপাতত চম্পট দিয়েছে ওই গয়না ব্যবসায়ী। তাঁর খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।

রাজস্থান পুলিশ জানিয়েছে, রাজস্থানের জয়পুরের জোহরি বাজারের একটি দোকান থেকে ওই গয়নাগুলি কিনেছিলেন চেরিশ নরতেজ নামে ওই মার্কিন মহিলা। ২০২২-এ সালে ইনস্টাগ্রামে তাঁর সঙ্গে আলাপ হয়েছিল জোহরি বাজারের গয়না ব্যবসায়ী গৌরব সোনির। গৌরব ও তার বাবা রাজেন্দ্র সোনি কৃত্রিম গয়নার ব্যবসা করেন। রুপোর তৈরি গয়নার উপর সোনার পালিশ করে বিক্রি করেন। কিন্তু, তা বুঝতে পারেনি চেরিশ। গত দুই বছর ধরে একের পর এক কৃত্রিম অলঙ্কার কিনেছেন, দাম দিয়েছেন আসল সোনার গয়নার। এই ভাবে সোনিদের তিনি প্রায় ৬ কোটি টাকা দিয়েছিলেন। এই ভাবে হয়তো আরও বহু টাকা বেরিয়ে যেত তাঁর। কিন্তু, চলতি বছরের এপ্রিলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রদর্শনীই তাঁকে আরও ক্ষতির হাত থেকে বাঁচিয়ে দিয়েছে।

ওই প্রদর্শনীতে, সোনিদের কাছ থেকে কেনা গয়নাগুলি রেখেছিলেন চেরিশ। প্রদর্শনীতেই গয়নাগুলি জাল বলে ধরা পড়ে। এরপরই ভারতে উড়ে আসেন চেরিশ। প্রথমেই তিনি জোহরি বাজারে সৌনিদের দোকানে গিয়েছিলেন। গৌরব সোনির মুখোমুখি হয়ে তিনি টাকা ফেরত চান। কিন্তু, তাঁর অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছিল গৌরব। এরপর, চেরিশ, জয়পুর পুলিশে এই বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। মার্কিন দূতাবাসের কাছেও সাহায্য চান। দূতাবাসের পক্ষ থেকে জয়পুর পুলিশকে বিষয়টির তদন্ত করার অনুরোধ করা হয়।

এরপরই বিপদ বুঝে পালায় গৌরব ও তাঁর বাবা রাজেন্দ্র সোনি। পলাতক গৌরবের স্ত্রী রজনীও। স্ত্রীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে এই প্রতারণার অর্থের একটা বড় অংশ স্থানান্তর করেছেন তিনি। পুলিশ আপাতত তাদের সকলকেই খুঁজছে। জয়পুর পুলিশের এক পদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, “ওই দুই ব্যক্তিকে খুঁজে বের করতে বিশেষ এক দল গঠন করা হয়েছে।” ইতিমধ্যে, নন্দ কিশোর নামে এক ব্যক্তিকে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, চেরিশ নরতেজকে যে নকল গয়নাগুলি বিক্রি করা হয়েছিল, সেগুলির জন্য জাল হলমার্ক সার্টিফিকেট দিয়েছিল ওই ব্যক্তি।