‘আমাদেরও ভুল হয়…’, শিশু-পর্নোগ্রাফি নিয়ে বিতর্কিত রায়, ঢোক গিলল হাইকোর্ট


newsagartala24.com Images

Bengaluru, Jul 21, 2024, ওয়েব ডেস্ক থেকে


বেঙ্গালুরু: ভুল স্বীকার করল কর্নাটক হাইকোর্ট। গত বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই), এক শিশু পর্নোগ্রাফির মামলায় কর্নাটক হাইকোর্টের এক বেঞ্চ যে রায় দিয়েছিল, তাতে চমকে গিয়েছিল সবাই। সোশ্যাল মিডিয়ায় একাংশের মধ্যে ক্ষোভও তৈরি হয়েছিল। কী রায় দিয়েছিল হাইকোর্ট? বেঞ্চ বলেছিল, যদি কেউ শুধুমাত্র শিশু পর্নোগ্রাফি দেখেন, তাহলে তিনি অপরধী নন। কারণ, শিশু পর্নোগ্রাফি দেখাটা আইনের চোখে অপরাধ নয়। তা ছড়িয়ে দেওয়া অপরাধ। এদিন অবশ্য আগের রায়টি বাতিল করে ‘ভুল হয়েছিল’ বলে মেনে নিল বিচারপতি এম নাগপ্রসন্নর ডিভিশন বেঞ্চ। বেঞ্চ বলেছে, তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৬৭খ (খ) ধারাটি তাদের পড়তে ‘ভুল’ হয়েছিল বলেই ওই ভুল রায় দেওয়া হয়েছিল। বিচারপতি এম নাগপ্রসন্ন বলেন, “আমরাও মানুষ এবং ভুল আমাদেরও হয়। সবসময়ই সংশোধনের সুযোগ থাকে। এই বিষয়ে তদন্ত করে নতুন রায় দেওয়া হবে। এই রায়টি বাতিল করা হয়েছে।”

অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ৫০ মিনিটের জন্য শিশু পর্নোগ্রাফির একটি ওয়েবসাইট দেখার অভিযোগ ছিল। ২০২২ সালের মার্চে তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৬৭-র খ ধারায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগটি নথিভুক্ত করা হয়েছিল। ২০০৮ সালে তথ্য প্রযুক্তি আইন, ২০০০-এ এই ধারাটি যুক্ত করা হয়েছিল। শিশু পর্নোগ্রাফি এবং শিশুদের যৌন নির্যাতনের সামগ্রী তৈরি এবং ছড়িয়ে দেওয়া রোধ করার লক্ষ্যেই এই আইন আনা হয়েছিল। শিশু-যৌনতার অশ্লীল সামগ্রী প্রকাশ বা প্রেরণ রুখতে শাস্তির বিধান রয়েছে তথ্য প্রযুক্তি আইনের এই ধারাটিতে। ধারায় বলা হয়েছে, শিশুদের যৌনতার ছবি বা ভিডিয়ো ইলেকট্রনিক আকারে প্রকাশ বা প্রেরণ করা হলে, যিনি সেই সামগ্রীটি প্রকাশ বা প্রেরণ করবেন তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা হবে। প্রথমবার এই অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হলে, তাঁকে পাঁচ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দেওয়া হতে পারে। সেই সঙ্গে জরিমানার বিধানও রয়েছে।

শুনানির সময়, অভিযুক্ত ব্যক্তির আইনজীবী যুক্তি দেন, তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৬৭-র খ ধারা প্রয়োগ করা যাবে না। তাঁর মক্কেল শুধুমাত্র ওয়েবসাইটটি দেখেছিলেন। শিশু-যৌনতার কোনও সামগ্রী প্রকাশ বা প্রচার করেননি। তবে, ৬৭-র খ-এর খ ধারায় তাঁর যুক্তি খাটছে না। এই অতিরিক্ত ধারাটিতে শিশুদের অশ্লীল সামগ্রী শুধু ইলেকট্রনিক আকারে প্রকাশ করলে বা আদান-প্রদান করলেই নয়, তা সংগ্রহ করা, ইন্টারনেটে সার্চ করা, ব্রাউজ করা, ডাউনলোড করা বা বিজ্ঞাপন দেওয়াকেও সমান অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।