মণিপুরে গোষ্ঠী সংঘর্ষে নিহতদের সমাহিত পর্ব স্থগিত রাখতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের আবেদনে সাড়া
Agartala, Aug 03, 2023, ওয়েব ডেস্ক থেকে
মণিপুরে গোষ্ঠী সংঘর্ষে নিহত ৩৫ জনের শেষকৃত্য তথা সমাহিত পর্ব স্থগিত রাখতে আবেদন জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। আজ বৃহস্পতিবার ভোর প্রায় চারটা নাগাদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের লিখিত আবেদনের ভিত্তিতে সমাহিত পর্ব আরও পাঁচ দিন বিলম্বিত করতে সম্মত হয়েছেন আদিবাসী সংগঠন ‘ইন্ডিজেনাস ট্রাইবাল লিডারস্ ফোরাম’ (আইটিএলএফ) ও ‘কোঅর্ডিনেটিং কমিটি অন মণিপুর ইনটিগ্রিটি’ (কোকোমি)-র নেতারা।
মণিপুরের সহিংসতায় নিহত তিন মহিলা সহ মোট ৩৫ জনকে আজ ৩ আগস্ট সকাল ১১টায় রাজ্যের চূড়াচাঁদপুর জেলার তুইবুয়ঙে নির্ধারিত শান্তি ময়দানে সমাহিত করার কথা ছিল। প্রসঙ্গত, এই ৩৫ জনের মধ্যে খ্রিষ্টান সহ একজন ইহুদি ও দুজন মেসিয়ানিক ধর্মাবলম্বী রয়েছেন।
এদিকে আজ (৩ আগস্ট) ভোর প্রায় চারটা পর্যন্ত নয়াদিল্লিতে বিভাগীয় প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই এবং শীর্ষ আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বিভিন্ন দাবি-দাওয়ার মধ্যে আদিবাসী নেতারা রাজ্য সরকারের কাছে ৩৫টি মৃতদেহ সমাহিত করার জন্য নির্ধারিত জমিকে বৈধ করার দাবি জানিয়েছিলেন।
মধ্য রাত থেকে অনুষ্ঠিত বৈঠকে দীর্ঘ আলোচনার পর রাজ্যে সহিংসতায় নিহত ওই ৩৫টি দেহের সমাহিত পর্ব আপাতত স্থগিত রাখতে অনুরোধ জানান অমিত শাহ। তাঁর অনুরোধে সাড়া দিয়ে আরও পাঁচ দিন সমাহিত পর্ব বিলম্বিত করতে সম্মত হয়েছেন আদিবাসী নেতৃবর্গ যথাক্রমে আইটিএলএফ চেয়ারম্যান পা জিন হাওকিপ, খ্রিস্টান গুডউইল কাউন্সিলের সভাপতি রেভারেন্ড ড. এস ভং মিনথাং, ‘কোঅর্ডিনেটিং কমিটি অন মণিপুর ইনটিগ্রিটি’ (কোকোমি)-র কোঅর্ডিনেটর জীতেন্দ্র নিংগমবারা।
মণিপুরে শান্তি ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে আবেদন জানিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দফতরের প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই আজ (৩ আগস্ট, ২০২৩) ওই সব আদিবাসী নেতাদের লিখিতভাবে আশ্বাস দিয়েছেন, আগামী সাত দিনের মধ্যে সমস্ত পক্ষের সর্বাত্মক সন্তুষ্টির জন্য উদ্ভূত সমস্যাবলি সমাধান করার আপ্রাণ প্রচেষ্টা করা হবে।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে আইটিএলএফ পাঁচটি দাবির ভিত্তিতে একটি লিখিত আশ্বাস চেয়েছিল। দাবিগুলি যথাক্রমে মণিপুরের চূড়াচাঁদপুরের এস বলজং-এ সমাধিস্থলের বৈধকরণ, কুকি-জো সম্প্রদায়ের নিরাপত্তার জন্য সমস্ত পার্বত্য জেলায় সমস্ত মেইতেই রাজ্য বাহিনী মোতায়েন করা হবে না, ইমফলের কুকি-জো সম্প্রদায়ের মৃতদেহগুলিকে চূড়াচাঁদপুরে নিয়ে আসতে হবে, ইমফলের কারাগারে বন্দি আদিবাসীদের নিরাপত্তার কাতিরে রাজ্যে স্থানান্তর করতে হবে।