রপ্তানি সিদ্ধান্তের পরে ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা


newsagartala24.com Images

Dhaka, Sep 23, 2024, ওয়েব ডেস্ক থেকে


 

পুজোয় ভারতে ইলিশ পাঠাবে বাংলাদেশ। অন্তর্বর্তী সরকারের এই সিদ্ধান্তের ঠিক পরেই ইলিশের বিজ্ঞানভিত্তিক প্রজনন সময়ের কথা মাথা রেখে ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত মোট ২২ দিন ইলিশ ধরা, মজুত, পরিবহণ, বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রক।

এ দিনই আবার ঢাকার সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধে সরকারকে আইনি নোটিস পাঠিয়েছেন। মাহমুদুল হাসান নামে ওই আইনজীবীর যুক্তি, বাংলাদেশের রপ্তানি নীতি অনুযায়ী ইলিশ মাছ মুক্তভাবে রপ্তানিযোগ্য মাছ নয়। এই পরিস্থিতিতে বাণিজ্য মন্ত্রক ভারতে ইলিশ রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিয়ে বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থবিরোধী কাজ করেছে বলেও দাবি করেন তিনি।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রকের উপদেষ্টা ফরিদা আখতারও এ দিন জানান, ইলিশ না-পাঠানোর সিদ্ধান্তে এখনও তিনি অটল। তাঁর কথায়, ‘আমরা নই, বাণিজ্য মন্ত্রক ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে। আমাদের কমিটমেন্ট আগের মতোই আছে। আমরা ইলিশ রপ্তানির বিপক্ষে।’

দুর্গাপুজো উপলক্ষে বেশ কয়েক বছর ধরেই ইলিশ যায় ভারতে। তবে এ বার অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল। বেঁকে বসেছিলেন মৎস্য-উপদেষ্টা। অগস্টের মাঝামাঝি বলেছিলেন, ‘দেশের মানুষ ইলিশ পাবে না, আর তা রপ্তানি হবে? সেটা হতে পারে না।’ শনিবার অবশ্য বাণিজ্য মন্ত্রক বিবৃতি জারি করে জানায়, ভারতে এ বার ৩ হাজার টন ইলিশ পাঠানো হবে।

এই অবস্থায় ফরিদা আখতারের বার্তা— ‘ইলিশ প্রজননের কথা মাথায় রাখতেই হবে। চোরাইপথে যাতে কোনও দেশেই ইলিশ না যায়, তা-ও কঠোর ভাবে মনিটরিং করতে হবে।’ রপ্তানি নিয়ে ফরিদার মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ এ দিন বলেন, ‘সর্বোচ্চ মহলের সিদ্ধান্তের পরই বৃহৎ স্বার্থে ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এতে দেশের বাজারে কোনও প্রভাব পড়বে না।’