সীমান্ত সুরক্ষিত না হলে, একটি দেশ কখনই উন্নত ও সমৃদ্ধ হতে পারে না : অমিত শাহ
Agartala, Dec 01, 2023, ওয়েব ডেস্ক থেকে
প্রতিষ্ঠা দিবসে সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)-র জওয়ানদের প্রতি কুর্নিশ জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। অমিত শাহ বলেছেন, “সীমান্ত সুরক্ষিত না হলে, একটি দেশ কখনই উন্নত ও সমৃদ্ধ হতে পারে না।” শুক্রবার ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগে আয়োজিত বিএসএফ-এর ৫৯-তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, “সীমান্ত সুরক্ষিত না হলে, একটি দেশ কখনই উন্নত ও সমৃদ্ধ হতে পারে না। প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্বে দেশ প্রতিটি ক্ষেত্রেই এগিয়েছে। তা সেটি জি-২০-র সফল আয়োজন হোক অথবা চন্দ্রযান-৩, এই সবই সম্ভব কারণ আপনাদের ত্যাগ ও তপস্যায় দেশের সীমান্ত নিরাপদ। বিএসএফ এ দেশের উন্নয়নের মূল।”
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আরও বলেছেন, “বিএসএফ-এর ৫৯-তম প্রতিষ্ঠা দিবসে আমি বিএসএফ-এর সমস্ত সৈনিক এবং তাঁদের পরিবারকে শুভেচ্ছা জানাই। গোটা দেশ আমাদের সৈন্যদের জন্য গর্বিত।” অমিত শাহ বলেছেন, “পাকিস্তান সীমান্ত হোক অথবা বাংলাদেশ সীমান্ত যা বিএসএফ-এর অধীনে আসে, যখনই শত্রুরা পদক্ষেপ করে তখনই একটি উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি হয়, কিন্তু যখন বিএসএফ বলে যে তাঁদের সৈন্যরা উপস্থিত রয়েছে, আমি কোনও টেনশন ছাড়াই শান্তিতে ঘুমাতে পারি। সীমান্তের রক্ষকরা একবার সামনে এসে দাঁড়ালে সীমান্ত নিয়ে কারও মাথাব্যথার দরকার নেই। একজন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে আমি আপনাদের নিয়ে খুব গর্বিত।” অমিত শাহ বলেছেন, “বামপন্থী চরমপন্থা দিন দিন সংকুচিত হচ্ছে। সিআরপিএফ, আইটিবিপি এবং বিএসএফ চূড়ান্ত আক্রমণের জন্য প্রস্তুত। আমরা আগামী দিনে দেশকে এর থেকে মুক্ত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। টহল বাড়ানোর কারণে, চরমপন্থীদের সম্পদ কমে গিয়েছে, ঝাড়খণ্ডের কিছু এলাকায় চূড়ান্ত লড়াই বাকি রয়েছে। সেই লড়াইয়েও আমরা জিতব।”
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আরও বলেছেন, “গতকালই আমি বামপন্থী চরমপন্থার বিরুদ্ধে আমাদের লড়াইয়ের পর্যালোচনা করেছি। আজ আমি জানাতে চাই, আমরা দ্বারপ্রান্তে এসে পৌঁছেছি। সেই দিন আর দূরে নয় যেদিন দেশ সম্পূর্ণরূপে বামপন্থী চরমপন্থা মুক্ত হবে।” অমিত শাহ বলেছেন, “আন্তঃসীমান্ত গোলাগুলির সাম্প্রতিক ঘটনাগুলিতে, বিএসএফ শত্রুদের উপযুক্ত জবাব দিয়েছে। বিএসএফ অস্ত্রধারী অনুপ্রবেশকারীদেরও নত করেছে। গত এক বছরে বিএসএফ পাকিস্তান থেকে আসা ৯০টি ড্রোন নামিয়ে ১০০০ কেজি হেরোইন বাজেয়াপ্ত করেছে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে গত এক বছরে ২০ কেজির বেশি নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে দেড় কেজিরও বেশি সোনা।”