'৪ জাতিই ভারতকে উন্নত করবে', জাতগণনা নিয়ে মুখ খুললেন মোদী
Agartala, Dec 01, 2023, ওয়েব ডেস্ক থেকে
বিহারে জাতিগত জনগণনার রিপোর্ট প্রকাশ করেছে নীতীশ কুমার সরকার। এই পরেই জাতগণনা নিয়ে সক্রিয় হয়েছে কংগ্রেস। এবার এ নিয়ে মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর মতে, গরিবরাই হচ্ছে দেশের সবচেয়ে বড় জাতি। সেই সঙ্গে জাতিগত জনগণনা নিয়ে বিরোধীদের বিরুদ্ধে রাজনীতি করার অভিযোগ করেন।
বৃহস্পতিবার বিকাশিক সংকল্প যাত্রায় যোগ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তাতে অংশগ্রহণ করে জাতিগত জনগণনা নিয়ে মুখ খোলেন। মোদী বলেছেন, উন্নত ভারতের সংকল্প চারটি অমৃত স্তম্ভের উপর দৃঢ়ভাবে টিকে আছে। এর প্রথম স্তম্ভটি হচ্ছে নারী শক্তি। যুবকরা তার দ্বিতীয় স্তম্ভ বলে উল্লেখ করেন। এরপরেই তৃতীয় ও চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে কৃষক ও দরিদ্র মানুষের কথা বলেন তিনি। তাঁর মতে, এই চার বর্ণের উন্নতিই ভারতকে উন্নত করবে।
মহিলা ও তরুণ ভোটারদের বড় অংশের বিজেপির প্রতি আস্থা বড়েছে বলে মনে করছেন তিনি। এই প্রসঙ্গে ২০১৪ এবং ২০১৯ সালের লোকাসভা ভোটের তথ্য তুলে ধরেন। মহিলা ও তরুণদের ভোটের জন্যই গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি বেশি আসন পেয়েছিল বলে মনে করছেন।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, তাঁর সরকারে কল্যাণমূলক কাজে দরিদ্র ও বঞ্চিত শ্রেণির অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়েছে। এরপরেই তিনি বিরোধীদের নিশানা করেন। তাঁর মতে, ইস্যু ভিত্তিক ভোটারদের মন জয় করতে ব্যর্থ হয়েছে বিরোধী দলগুলি। সেই কারণে জাতপাতের ইস্যু তুলে ধরার পরিকল্পনা নিয়েছে তারা। সেই সঙ্গে জনগণের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন।
রাজনৈতিক বিষেজ্ঞদের মতে, নীতীশ সরকারে জাতিগত জনগণনা ছিল লোকাসভা ভোটের আগে একটি মাস্টরস্ট্রোক। এতে পিছিয়ে পড়া মানুষের সংখ্যা শুধু প্রকাশ পায়নি, কতজন সরকারি সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত, তাও উঠে এসেছে সমীক্ষায়। জাতগণনার ফল প্রকাশ করে নীতীশ কুমার জানিয়েছিলেন, রাজ্যের প্রতিটি প্রকল্প তৈরির সময় এই রিপোর্ট বিবেচনা করা হবে।
বেশি মানুষ যাতে উপকৃত হন, যাতে সামাজিক ন্যায় হয়, তা-ও দেখা হবে। আর এতে পিছিয়ে পড়া শ্রেণি প্রভাবিত হতে পারে বলে বিজেপি আশঙ্কা। আর তারপরেই জাতগণনা নিয়ে মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী। লোকসভা ভোটের আগে যা তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।