ইভিএম থেকে দেশের গণতান্ত্রিক পরিবেশ, কংগ্রেস তুলোধনা মোদীর


newsagartala24.com Images

New Delhi, Jun 07, 2024, ওয়েব ডেস্ক থেকে


এনডিএ-র নব নির্বাচিত সাংসদরা নরেন্দ্র মোদীকে তাঁদের নেতা হিসাবে নির্বাচিত করেন সংসদের সেন্ট্রাল হলে। সেখানে এনডিএ জোটের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন মোদী। জোটের শরিকরা তাঁকে নেতা নির্বাচিত করে দায়িত্ব বাড়িয়েছেন বলেও মন্তব্য করেছেন। এই প্রেক্ষিতেই কংগ্রেস-সহ ইন্ডিয়া জোটের বিরোধীদের তীব্র ভাষায় আক্রমণ শানান। সেখানে যেমন কংগ্রেসের আসন সংখ্যা নিয়ে কটাক্ষ করেন, পাশাপাশি ইভিএম নিয়ে অভিযোগের জন্য বিরোধীদের কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। ‘নেশন ফার্স্ট’ লক্ষ্যকে সামনে রেখেই যে তিনি সরকার পরিচালনা করবেন, তাও ঘোষণা করেন।

ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ নিয়ে অতীতে একাধিকবার সরব হয়েছে বিরোধীরা। এদিনের বক্তৃতায় সেই প্রসঙ্গ তুলে বিরোধীদের ভর্ৎসনা করতে ছাড়েননি মোদী। এ বিষয়ে বিরোধীদের কটাক্ষ করে তিনি বলেছেন, “৪ জুন আমি কাজে ব্যস্ত ছিলাম। আমার কাছে ফোন আসছিল। আমি একজনকে জিজ্ঞাসা করলাম, ইভিএম বেঁচে আছে? কারণ এটা লাগাতার ইভিএম-কে গালি দিয়েছে। আমি তো ভেবেছিলাম ইভিএমের চিতা নিয়ে বের হব। কিন্তু ৪ জুনের বিকেল হতে হতে এদের মুখে তালা পড়ে গেল।” এর পাশাপাশি বিরোধীরা দেশে গণতন্ত্রহীনতার মিথ্যা অভিযোগ করে বিশ্বের দরবারে দেশের নাম ভূলুণ্ঠিত করেছে বলেও অভিযোগ মোদীর। এ বিষয়ে তিনি বলেছেন, “বিশ্বের কাছে ভারতের গণতন্ত্রকে খাটো করে দেখানোর চেষ্টা করেছে। যা খুবই চিন্তার কারণ। আমি বিভিন্ন দেশে গিয়ে ঢাক পেটাচ্ছি যে ভারত গণতন্ত্রের জনক, আর এরা বিদেশে গিয়ে বলছে, না না, আমাদের দেশে গণতন্ত্র নেই।”

২০১৯ সালের তুলনায় আসন কমেছে বিজেপি-সহ এনডিএ-র। ইন্ডিয়া জোট এই ফলকে মোদীর নৈতিক হার হিসাবে অ্যাখ্যা দিয়েছে। কংগ্রেস তো মোদীকে হিমালয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। তাঁর জবাবও এদিন দিয়েছেন মোদী। তিনি কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে বলেছেন, “বিজেপি ২০২৪ সালে যে সংখ্যক আসন পেয়েছে, কংগ্রেস গত তিন বার মিলিয়েও তা পায়নি।” প্রসঙ্গত ২০১৪ সালে ৫০-এর নীচে নেমে যায় কংগ্রেসের আসন সংখ্যা। ২০১৯ সালেও খুব একটা ভালো হয়নি কংগ্রেসের ফল। কিন্তু এ বছর ৯৯ আসনে পৌঁছে গিয়েছে কংগ্রেস। আসন বাড়লেও আসন জেতার নিরিখে বিজেপি-র থেকে অনেক পিছনে যে কংগ্রেস, এ কথার মাধ্যমে তা মোদী মনে করিয়ে দিতে চেয়েছেন বলে মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।