ত্রিপুরাকে মূলপর্বে নিতে পেরে খুশি:‌ অন্নপূর্ণা সাল-‌টা ছিলো ২০১১।


newsagartala24.com Images

আগরতলা, Jan 14, 2024, ওয়েব ডেস্ক থেকে 2024


ত্রিপুরাকে মূলপর্বে নিতে পেরে খুশি:‌ অন্নপূর্ণা
সাল-‌টা ছিলো ২০১১। অসমে অনুষ্ঠিত হয়েছিলো পূর্বাঞ্চলীয় মহিলাদের ক্রিকেট। অন্নপূর্ণা দাসের নেতৃত্বে ওই আসরে ৪ ম্যাচ খেলে ৩ টিতে জয় পেয়ে প্রথমবারের মতো নকআউট পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিলো ত্রিপুরার মহিলা ক্রিকেটাররা। সুদীর্ঘ ১৩ বছর পর সেই অন্নপূর্ণা-‌র নেতৃত্বেই আবার মূলপর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে নিলো। তবে এবার আপাতত অপরাজিত থেকে। ৬ ম্যাচ খেলে ৬ ম্যাচেই জয় পেয়ে। ভুবনেশ্বরে অনুষ্ঠিত আসরে ত্রিপুরার শেষ ম্যাচ পুদুচেরীর বিরুদ্ধে, ১৫ জানুয়ারি। ওই ম্যাচে জয়-‌পরাজয় তেমন কোনও সমস্যা হবে না। কিন্তু ত্রিপুরা চাইছে শেষ ম্যাচেও জয় পেয়ে বরোদা যেতে।

রবিবার বারবাটি স্টেডিয়ামে ম্যাচে শেষে ত্রিপুরার অধিনায়িকা অন্নপূর্ণা দাস টেলিফোনে বলেন,"বরোদায় নকআউট আসরে খেলতে যাওয়ার আগে মনোবল বাড়াতে চাই। তাই পুদুচেরী ম্যাচ জয় করা আমাদের এখন লক্ষ্য"। লো স্কোরিং ম্যাচে রবিবার ঝাড়খন্ডের বিরুদ্ধে জয় পেতে ঘাম ঝরাতে হয়েছে ত্রিপুরাকে। এনিয়ে ত্রিপুরার অধিনায়িকা বলেন,"বারবাটির উইকেট নতুন তৈরী করা হয়েছে। ওই উইকেট বোলারদের জন্য স্বর্গরাজ্য। ওই উইকেটে ব্যাট করা খুবই কঠিন। তবে ঋজু যেভাবে ব্যাট করলো তা প্রশংসার দাবি রাখে। ওর জন্যই ম্যাচটিতে জয় পেয়েছি। তবে ১১ বছর পর আমার নেতৃত্বেই দল মূলপর্বে গেছে তাতেই আনন্দিত আমি"। টানা ৬ ম্যাচে জয় ত্রিপুরার ক্রিকেটের ইতিহাসে নজীর। ওই জয় দলীয় সংহতির জয় মনে করছেন কোচ নারায়ন চন্দ্র দে। টেলিফোনে ত্রিপুরার কোচ বলেন,"দীর্ঘ বছর ধরে একসঙ্গে খেলার ফলে গোটা দলের মধ্যে বোঝাপড়া বেড়ে গেছে। যা ম্যাচ জয় করতে সাহায্য করছে। এছাড়া ব্যাটসম্যান-‌রা রান পাওয়ায় আমাদের সুবিধে হচ্ছে। চাই নকআউট পর্বেও মেয়েরা এমন খেলুক"। খুশি দলের অপর কোচ রূমা দাস। দুরন্ত ব্যাট করে ত্রিপুরাকে জয় এনে দেওয়ার নায়িকা ঋজু সাহা বলেন"ত্রিপুরাকে সাফল্য এনে দিতে আমি আরও এমন ইনিংস খেলতে চাই। লক্ষ্য একটা রাজ্যকে এগিয়ে নেওয়া"।‌‌‌‌