বিজয় দিবস উদযাপনে ভারত ও বাংলাদেশ
Agartala, Dec 16, 2023, ওয়েব ডেস্ক থেকে
নয়াদিল্লি, ১৬ ডিসেম্বর : ভারত ও বাংলাদেশে শনিবার পালিত হচ্ছে বিজয় দিবস। এই উপলক্ষ্যে ভারতীয় জনতা পার্টি ভারত মাতার বীর সৈনিকদের শ্রদ্ধা জানিয়েছে। বিজয় দিবস উপলক্ষে সিডিএস জেনারেল অনিল চৌহান, সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পান্ডে, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার এবং আইএএফ ভাইস চিফ এয়ার মার্শাল অমর প্রীত সিং, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং জাতীয় যুদ্ধ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছেন। ১৯৭১ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর বিজয় স্মরণে প্রতি বছর ১৬ ডিসেম্বর সারা দেশে বিজয় দিবস পালিত হয়।
বাংলাদেশের বিজয় দিবসের আগে রাজধানী ঢাকার সংসদকে আলো দিয়ে সাজানো হয়েছে। ভারতে এই উপলক্ষে, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু নয়াদিল্লির আর্মি হাউসে আয়োজিত অ্যাট হোম অনুষ্ঠানে অংশ নেন। এক্স হ্যান্ডেলে ভারতের রাষ্ট্রপতির ছবি পোস্ট করা হয়। সেই পোস্টে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে বিজয় দিবসের আগে আর্মি হাউসে ‘অ্যাট হোম’ সংবর্ধনায় অংশ নিতে দেখা যায়। ৫২ বছর আগে আজকের তারিখের স্মৃতি স্মরণ করে, বিজেপি এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছে, “আমরা ভারতমাতার সাহসী সৈনিকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই যারা ১৯৭১ সালের যুদ্ধে তাঁদের অদম্য সাহসিকতা এবং আত্মত্যাগ প্রদর্শন করে ঐতিহাসিক বিজয়ের গৌরবময় অধ্যায় রচনা করেছিলেন।” আর্মি হাউসের অ্যাট হোমে এডিজিপিআই ভারতীয় সেনা তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে ছবি শেয়ার করেছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ১৯৭১ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর আত্মত্যাগকারী সাহসীদের স্মরণে আয়োজিত একটি সংবর্ধনায় যোগ দিয়েছেন। ভারতীয় সেনাবাহিনীর এডিজিপিআই-এর এক্স হ্যান্ডেল থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে, জেনারেল মনোজ পান্ডে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখর, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, কূটনৈতিক ভ্রাতৃত্ব, ক্রীড়াবিদ, বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব এবং জীবনের বিভিন্ন স্তরের উচ্চ পদাধিকারীরা।
বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় সংবাদপত্র ঢাকা ট্রিবিউন সূত্রে জানা গিয়েছে, দেশ শনিবার ৫৩তম বিজয় দিবস উদযাপন করতে চলেছে। স্মরণ অনুষ্ঠানে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হবে। এজন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে উদযাপনের আয়োজন করা হবে। সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক-রাজনৈতিক, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন বিজয় দিবস উদযাপন করবে।
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর, বাংলাদেশ, যেটি পূর্ব পাকিস্তানের একটি অংশ ছিল, একটি স্বাধীন জাতি হিসাবে জন্মগ্রহণ করে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ভারতের বিজয় এবং বাংলাদেশ গঠনের কারণে প্রতি বছর ১৬ ডিসেম্বর এই তারিখটি ভারত ও বাংলাদেশে বিজয় দিবস হিসেবে পালিত হয়। বাংলাদেশ গঠনে ভারত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। পাকিস্তান সেনাবাহিনী বাংলাদেশের (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) জনগণের উপর অত্যাচারের কারণে ভারত এই যুদ্ধে নামতে বাধ্য হয়। এই প্রতিরোধ পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে উত্তেজনা বাড়িয়ে দেয় এবং শেষ পর্যন্ত ভারতীয় সেনাবাহিনীর পদক্ষেপে পাকিস্তান পরাজিত হয়। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানের ৯৩ হাজার সৈন্য ভারতের কাছে আত্মসমর্পণ করে।