রাজ্যে শিক্ষা সপ্তাহের নামে বিভিন্ন স্কুল গুলিতে অনুকূল চন্দ্রের উপাসনা SFI


newsagartala24.com Images

আগরতলা, Jul 26, 2024, ওয়েব ডেস্ক থেকে 2024


রাজ্যে শিক্ষা সপ্তাহের নামে বিভিন্ন স্কুল গুলিতে অনুকূল চন্দ্রের উপাসনা এবং মনসা মঙ্গল ও গীতা পাঠের আসর বসানো হচ্ছে। স্কুলে রীতিমত সাউন্ড সিস্টেম বাজিয়ে ধর্মীয় সংকীর্তন চলছে। শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে কালচারাল ডে'তে ভারতবর্ষের সাংস্কৃতিক বৈচিত্রকে তুলে ধরার কথা শিক্ষাদপ্তরের নির্দেশে বলা হয়েছিল। কিন্ত আশ্চর্যজনক ভাবে স্কুল গুলিতে সাংস্কৃতিক চর্চার নামে ধর্মীয় উপাসনার আসর বসছে। স্কুলে স্কুলে কাদের অঙ্গুলিহেলনে এই কাজ চলছে সেটাও পরিষ্কার নয়। এটা বিজেপি সরকারের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের অংশ কিনা সেটাও স্পষ্ট করা হচ্ছে না। 

 

ভারতীয় সংবিধানের ২৮ নং অনুচ্ছেদে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রীয় তহবিল থেকে সম্পূর্ণরূপে রক্ষণাবেক্ষণ করা কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করা যাবে না।


সংবিধান অনুযায়ী সরকার স্বীকৃত বা সরকারী অর্থে আংশিক ভাবে পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্ম শিক্ষায় অংশ না নেওয়ার স্বাধীনতা, শিক্ষার্থীদের আছে। 
 

বিজ্ঞান-মনস্কতা, মানবিকতা এবং অনূসন্ধিৎসা, সংস্কারমুখী দৃষ্টিভঙ্গির প্রসার ঘটানোর উল্লেখ নাগরিকদের মৌলিক কর্তব্য নির্ধারণ করতে গিয়ে সংবিধানে নির্দিষ্ট করে বলা রয়েছে। 

ভারতের ছাত্র ফেডারেশন, ত্রিপুরা রাজ্য কমিটি দেশের সংবিধানের গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য গুলিকে হেয় করে বিভিন্ন সরকারী স্কুলে যেভাবে ধর্মীয় উপাসনার আসর বসানো হচ্ছে তার তীব্র প্রতিবাদ করছে। এতে নির্দিষ্ট একটি ধর্মের প্রতি পক্ষপাতিত্ব ও সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গির প্রকাশ ঘটছে। এটা অবিলম্বে বন্ধ হওয়া উচিত বলে সংগঠন মনে করে। সংগঠন দাবী করছে সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্র বজায় রেখে ছাত্রছাত্রীদের বিজ্ঞানমনস্ক করে গড়ে তোলার উদ্যোগ সম্প্রসারিত করা হোক। 


ভারতের ছাত্র ফেডারেশন, ত্রিপুরা রাজ্য কমিটি প্রস্তাব করছে, রাজ্যে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে যেভাবে মারণ নেশার প্রকোপ বাড়ছে তার বিরুদ্ধে লড়াই জোরালো করতে সমস্ত স্কুলে পঠনপাঠনের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরণের ক্রীড়ামূলক প্রতিযোগিতা, শরীর চর্চা, সাহিত্য সভা, সংবাদপত্র পাঠ, বিজ্ঞান ক্লাব  ও সাংস্কৃতিক চর্চার পরিধি বৃদ্ধির দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হোক।