সঞ্জীব, পিকের কেলোর কীর্তি জনসমক্ষে, ছি ছি রব সবার মধ্যে


newsagartala24.com Images

আগরতলা, Dec 07, 2023, ওয়েব ডেস্ক থেকে 2023


সঞ্জীব, পিকের কেলোর কীর্তি জনসমক্ষে, ছি ছি রব সবার মধ্যে।।।।।                           রাজ্যের ব্যাডমিন্টন ইভেন্টকে কালিমালিপ্ত করতে উঠে পরে লেগেছেন সঞ্জীব সাহা। রাজ্যের খেলোয়াড়দের বঞ্চিত করে এই সঞ্জীব সাহা পিকে সাহাকে সঙ্গী করে যা খুশি তা করে চলেছেন রাজ্যের ব্যাডমিন্টন ইভেন্টকে নিয়ে। প্রতিনিয়ত এই অভিযোগ সঞ্জীব ও পিকের বিরুদ্ধে করে চলেছেন রাজ্যের আপামর যোগ্য ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড়রা। সঞ্জীব ও পিকে ত্রিপুরা ব্যাডমিন্টন এসোসিয়েশনের নামে একটি অবৈধ সংস্থা চালিয়ে যা খুশি তা ই করে চলেছেন। তাদের না আছে ত্রিপুরা স্পোর্টস কাউন্সিলের কোনো স্বীকৃতি না আছে রাজ্য ক্রীড়া দপ্তর থেকে কোনো অনুমোদন। এরপর ও ব্যাডমিন্টন এসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়াকে ফাঁকি দিয়ে এই দুই মাস্টার মাইন্ড নিজের ইচ্ছে মতো রাজ্য ব্যাডমিন্টনকে পরিচালনা করে চলেছেন। অথচ রাজ্যে বৈধ একটি ব্যাডমিন্টন এসোসিয়েশন রয়েছে। যার সচিব রূপক সাহা। সভাপতি প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মন। ওয়ার্কিং প্রেসিডেন্ট রাজ্যের অন্যতম একজন স্বনামধন্য ব্যবসায়ী রতন সাহা। এই সংস্থাটির যাবতীয় সব অনুমোদন রয়েছে। এরপর ও জাতীয় আসরে বৈধ এই সংস্থা থেকে খেলোয়াড়েরা অংশগ্রহণ করতে পারছে না। কারণ ফেডারেশনে সঞ্জীব সাহার বিশাল বড় একটা নেটওয়ার্ক রয়েছে। যা অর্থের বিনিময়ে তিনি নাকি মেনেজ করে রেখেছেন বলেও অভিযোগ। এই গ্যাড়াকলে পরে রাজ্যের ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড়দের ভবিষ্যৎ কিন্তু প্রশ্নের মুখে। সামনে ডিসেম্বর মাসে গুহাটিতে পুরুষ ও মহিলা বিভাগে সিনিয়র ন্যাশনাল মিট হবে ব্যাডমিনটনে। এতে দল পাঠানোর জন্য নিজেদের মর্জি মাফিক সিলেকশন ক্যাম্প ও করে নিয়েছে সঞ্জীব সাহার অবৈধ সংস্থাটি। অথচ এই ক্যাম্প করার আইনি অধিকার রয়েছে বৈধ রাজ্য ব্যাডমিন্টন সংস্থার। ফ্রেন্ডস ইউনিয়ন ক্লাবে সঞ্জীব সাহার লবি রাজ্যদল গঠন করে নিয়েছে। অবাক করার মতো বিষয় হলো, এই দলে বহিরাজ্যের তিনজন খেলোয়ার রয়েছে। যাদের কারোর বাড়ি কলকাতা, কারোর উত্তরপ্রদেশ তো কারোর টেলেঙ্গানা। কর্ম সূত্রে কিংবা পড়াশোনার তাগিদে নাকি তাদের এখানে বসবাস। অথচ এই সিলেকশন ক্যাম্পে রাজ্যের টপ রেঙ্কিং একজন খেলোয়াড়কে ও দেখা যায়নি।

এই বিষয়ে অবৈধ ব্যাডমিন্টন সংস্থার কোচ অনুভা পাল চৌধুরীর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি অনায়াসে খুব দারুন ভাবে সঞ্জীব সাহার শেখানো বুলি গর গর করে বলে দিলেন মিডিয়ার সামনে। প্রশ্ন হলো, রাজ্যের যোগ্য খেলোয়াড়েরা বঞ্চিত, অথচ বহিরাজ্যের প্লেয়াররা ত্রিপুরার জার্সি গায়ে দিয়ে খেলে নেবে জাতীয় আসর, এটা কি করে সম্ভব। এই নিয়ে বৈধ সংস্থার ব্যানারে থাকা খেলোয়াড়রা পশ্চিম থানার কাছে অভিযোগ ও জমা দেয়। সঙ্গে ছিলেন রাজ্য ব্যাডমিন্টন সংস্থার সচিব রূপক সাহা ও। তিনি এই বিষয়টার তীব্র প্রতিবাদ করেন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হলো, যে সংস্থার রাজ্যেই কোন পরিচিতি নেই, তার ব্যানারে কি করে খেলবে খেলোয়ারেরা জাতীয় আসর। এই ডামাডোলে তো রাজ্যে ব্যাডমিন্টন ইভেন্টের ক্ষতি হবে। এর একটা বিহিত তো দরকার। এই ভেবে এবার যুব বিষয়ক ক্রীড়া দপ্তর থেকে একটি নোটিফিকেশন বের হলো। যাতে স্পস্ট লেখা রয়েছে রাজ্যের হয়ে যে কোনো সংগঠন কিংবা সংস্থা জাতিয় আসরে ত্রিপুরা দলের জার্সি গায়ে লাগিয়ে মাঠে নামবে, তাদের প্রত্যেকের অনুমোদন থাকতে হবে ত্রিপুরা স্পোর্টস কাউন্সিলের। না হলে সেই সংগঠনকে অবৈধ মানা হবে। এবার দেখার কি করে দুই চালু মাল সঞ্জীব সাহা ও পি কে সাহা। এতদিন তো দেদার লুটেছে দুজন রাজ্য ব্যাডমিন্টন সংস্থার তহবিল। এবার কিয়া হোগা তুম দুনো কা কালিয়া, প্রশ্ন ক্রীড়া প্রেমীদের।