সন্তোষ ট্রফিতে জাবেদের জোড়া গোল দারুন খেলে ত্রিপুরার জয়।
আগরতলা, Nov 15, 2024, ওয়েব ডেস্ক থেকে 2024
প্রথম ১৫-২০ মিনিট পর্যবেক্ষণে রেখে পরবর্তী সময়ে এক জোটে আক্রমণাত্মক খেলার পরামর্শটাকে দারুনভাবে কাজে লাগালো ত্রিপুরার ফুটবলাররা। কোচ দীনেশ কুমার প্রধান ও ম্যানেজার সুভাষ বোসের এই টিপস অনেকটা কাজে এসেছে। মিজোরামকে হারিয়ে দুর্দান্ত জয় ত্রিপুরার। তাও ৪-১ গোলের ব্যবধানে। এই জয়ের সুবাদে ৩ পয়েন্ট প্রাপ্তি। এবং গোল ব্যবধানের নিরিখে আপাতত দ্বিতীয় শীর্ষে অবস্থান করলেও ত্রিপুরা শিবিরে কিন্তু এখন দারুন প্রত্যাশার বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। ঘড়িতে তখন ৪টা বেজে ১৪ মিনিট।
স্টেডিয়ামের ফ্লাড লাইট গুলো প্রজ্জ্বলিত। প্রথমবারের মতো নৈশালোকের আলোতে জাতীয় পর্যায়ের আসর তথা জাতীয় সিনিয়র ঐতিহ্যবাহী ফুটবল টুর্নামেন্ট সন্তোষ ট্রফির খেলা। দর্শকাকীর্ণ স্টেডিয়াম ঠিক ওই সময়ে এক নতুন ইতিহাস রচনা করেছে। গোলের শুরু খেলার ২৮ মিনিটে অধিনায়ক পারভেজ ভুঁইয়ার পা থেকে। ৪২ মিনিটের মাথায় জাবেদ ডারলং -এর দর্শনীয় গোল খেলায় ব্যবধান বাড়িয়ে ২-০ করে। প্রথমার্ধে স্বাগতিক দল ত্রিপুরা ২-০ গোলে এগিয়ে থাকে। দ্বিতীয়ার্ধে ত্রিপুরা দল কিছুটা রক্ষণাত্মক খেললেও ৮৫ মিনিটের মাথায় জটলা থেকে মিজোর আহমেদ লালাম কিমা একটি গোল করে ব্যবধান কমিয়ে আনে। তবে পরবর্তী মিনিটেই জাবেদের দ্বিতীয় গোল দলকে ফের ৩-১ এ কে লিড এনে দেয়। তবে ইনজুরি টাইমে বদলি খেলোয়ার সুকান্ত জমাতিয়া বুদ্ধি খাটিয়ে সর্বশেষ একটি গোল করলে চূড়ান্ত ব্যবধান ৪-১ হয়। জোড়া গোলের সৌজন্য জাবেদ ডার্লং পেয়েছে প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচের খেতাব। এদিকে খেলায় অসদাচরণের দায়ে রেফারি বিজয়ী ত্রিপুরা দলের চারজন ভক্ত সাধন জমাতিয়া, আসিফ আলী মোল্লা, সাবাত জমাতিয়া ও পারভেজ ভূঁইয়াকে হলুদ কার্ড দেখিয়ে সতর্ক করেন। ম্যাচ পরিচালনায় ছিলেন রেফারি আর. কানণ।