রাজ্যের নিজস্ব আয় বৃদ্ধির উপর মুখ্যমন্ত্রীর গুরুত্বারোপ

আগরতলা, Feb 22, 2025, ওয়েব ডেস্ক থেকে 2025

রাজ্যের নিজস্ব আয় বৃদ্ধির উপর মুখ্যমন্ত্রীর গুরুত্বারোপ  সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে রাজ্যের নিজস্ব আয় বৃদ্ধির উপর গুরুত্ব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাক্তার মানিক সাহা। শনিবার প্রজ্ঞা ভবনে অর্থ দপ্তর আয়োজিত জিএসটি জাগ্রোতা অভিযান প্রকল্পের সূচনা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন ,রাজ্যের প্রগতি নির্ভর করছে রাজ্যের নিজস্ব আয়ের উপর ।এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অর্থমন্ত্রী প্রণোজিৎ সিংহ রায় ,রাজ্যের মুখ্য সচিব জে কে সিনহা সহ অন্যান্যরা।

শনিবার প্রজ্ঞা ভবনে জিএসটি জাগ্রোতা অভিযান প্রকল্পের সূচনা হয় ।এর উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাক্তার মানিক সাহা। অর্থ দপ্তরের উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী প্রনজিত সিংহ রায়, মুখ্য সচিব জে কে সিনহা, অর্থ দপ্তরের সচিবসহ অন্যান্য আধিকারিকরা ।অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন ২০২৪-২৫ অর্থবছর প্রায় শেষের পথে। এই অর্থ বর্ষে রাজ্যের বাজেট ছিল ২৭ হাজার ৮০০ কোটি টাকা ।এর মধ্যে রাজস্ব আয় অর্থাৎ জনগণের কাছ থেকে কর বাবদ আয় ৩ হাজার ৭০০ কোটি টাকা ।মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান ,বাজেটের অর্থ রাশির মধ্যে 10 হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয় বেতন ভাতা প্রদান, পেনশন প্রদান এবং সরকারের ঋণ শোধের জন্য। রাজ্যের যে নিজস্ব আয় ৩৭০০ কোটি টাকা এর মধ্যে এডিসিকে ২৫ শতাংশ দেওয়া হয় ।১০% টাকা দেওয়া হয় বিভিন্ন লোকাল বডিকে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন ,রাজ্যের নিজস্ব আয়ের উপরেই কিন্তু নির্ভর করে রাজ্যের উন্নয়নের গতিপ্রকৃতি ।তাই রাজ্যের নিজস্ব আয় বৃদ্ধির উপর আরো বেশি করে গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাক্তার মানিক সাহা।
এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় বলেন, মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাক্তার মানিক সাহার দক্ষ পরিচালনায় রাজ্যে প্রতিবছর কর বৃদ্ধি পাচ্ছে ।প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশে জিএসটি প্রথা চালু করায় এই ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও কর বৃদ্ধির প্রতিফলন ঘটেছে ।অর্থমন্ত্রী জানান ,২০২৩-২৪ সালে রাজ্যে কর বাবদ আয় হয় ৩ হাজার ৭ কোটি টাকা ।২০১৮ সালের আগে রাজ্যের নিজস্ব কর আয়ের পরিমাণ ছিল ১৩২৩ কোটি টাকা মাত্র। তিনি জানান ,সরকারের সাথে ব্যবসায়ীদের সম্পর্ক সুদৃঢ় না হলে পরে কর সংগ্রহের পরিমাণ এই জায়গায় পৌঁছাতো না ।তিনি আরো জানান ,জিএসটি চালু করায় কর ব্যবস্থায় কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের স্বচ্ছতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে রাজ্যের করদাতার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। পরিসংখ্যান দিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন ,2017 সালে রাজ্যে করদাতার সংখ্যা ছিল ১৭ হাজার ।বর্তমানে রাজ্যে কর্দাতার পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫ হাজার। অর্থমন্ত্রী আরো জানান ,এই বৃদ্ধি উত্তর পূর্বাঞ্চলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি এবং গোটা দেশের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বাধিক।