ডেপুটেশনে দেখা গেল না মহকুমার অধিকাংশ প্রতিনিধিদের, এর পেছনে কি রহস্য, প্রশ্ন আমজনতার ।।।
![newsagartala24.com Images](https://newsagartala24.com/backOffice/NewsImages/3199.jpg)
আগরতলা, Dec 01, 2024, ওয়েব ডেস্ক থেকে
রাজ্য সরকারের রীতিমতো বদনাম করার উদ্যেশ্যেই কি টিসিএর তরফে ডেপুটেশন দেয়া হলো পুলিশ মহানির্দেশকের কাছে। এই প্রশ্নটা এখন রাজ্যের আপামর ক্রিকেট প্রেমীরা জানতে চাইছে। অভিযোগ এমনটা ও রয়েছে , এই ডেপুটেশনের পেছনে মেলারমাঠের ও নাকি ইন্ধন রয়েছে। দূর থেকে খুবই সন্তর্পনে লাল বাড়ির লোকেরা শাসক দলকে চাপে ফেলতেই এই ধরণের কাজ করে চলেছে বলে ও অভিযোগ রয়েছে। না হলে হটাৎ করে কেন এই ডেপুটেশন, আর বলা যে হলো টিসিএর তরফ থেকে দেয়া হলো এই ডেপুটেশন,আদতে কি বিষয়টি এরকম।হয়তো একদমই নয়। কেন না নির্ভরযোগ্য সূত্রের খবর, এই ডেপুটেশনে টিসিএর মহকুমার দু তিন জন প্রতিনিধি ছাড়া আর কেউই ছিলেন না কেন। কেন তারা এলেন না এই ডেপুটেশনে, এটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। মহকুমার প্রতিনিধিরা হলেন সাব্রুমের বিপুল ভৌমিক, শান্তিরবাজারের সুমন দেবনাথ, উদয়পুরের সানি সাহা, বিশালগরের নবদল বণিক, জিরানিয়ার গৌরাঙ্গ ভৌমিক, মোহনপুরের জয়লাল দাস, আমবাসার আশিস ভট্টাচার্য,কমলাপুরের সৌমিত্র গোপ, তেলিয়ামুরার নন্দন রায়, সোনামুড়ার বিশ্বজিৎ ভৌমিক। একই সঙ্গে এই ডেপুটেশনে দেখা গেল না সংহতি ক্লাবের প্রতিনিধি জয়ন্ত দে কে ও।
তিনি আবার টিসিএর যুগ্ম সচিব ও। প্রশ্ন হলো, কেন তাদের দেখা গেল না এই ডেপুটেশনে।অভিযোগ ,সরকার বিরোধী এই ডেপুটেশনে দেখা গেল টিসিএর সভাপতি তপন লোধ, সচিব সুব্রত দে , কোষাধ্যক্ষ বাসুদেব চক্রবর্তী সহ রামনগর,কৃষ্ণনগর, জয়নগরের অধিকাংশ আম জনতাদের। যাদের ক্রিকেট নিয়ে কোনোদিনই এমন আগ্রহ দেখা যায়নি। সঙ্গে টি এফ এর মার্কা মারা কয়েকজন ও গেলেন এই ডেপুটেশনে। এর মধ্যে টিসিএ এবং টি এফ এর মধ্যে হলুদ বলে পরিচিত সুব্রত দত্ত চৌধুরীকে ও দেখা গেল এই ডেপুটেশনে। সুব্রত দত্ত চৌধুরী যিনি গদু নামেই অধিক পরিচিত সবার কাছে।এই সেই গদু, যিনি বাম আমলে কোনো সময় টিসিএর সহ সভাপতি ও ছিলেন।এখন রাম আমলে ও তিনি বহাল তবিয়তে রয়েছেন টিসিএতে। আসল বিষয় হলো, কেন মহকুমার সব প্রতিনিধিরা গেলেন না এই ডেপুটেশনে। খোঁজ নিয়ে জানা গেল,মহকুমার প্রত্যেকেই কোনো না কোনো ভাবে ভাজপা দলের সঙ্গে উতপ্রোত ভাবে জড়িত।মহকুমার যারাই প্রতিনিধিরা এদিন ডেপুটেশনে এলেন না, তারা প্রত্যেকেই বিজেপি দলের একনিষ্ঠ কার্যকর্তা নিজেদের মহকুমায়।তারা কখনোই সরকার বিরোধী কাজের সঙ্গে থাকার লোক নয়। দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে, এমন কোনো কাজই তারা করতে রাজি নন। সূত্রের খবর,যদি মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ থাকতো তাহলে হয়তো তারা সহ সংহতি ক্লাবের প্রতিনিধি ও যেতেন এই ডেপুটেশনে। এতে তো স্পস্ট,তাদের কাছে দল থেকে এমন কোনো নির্দেশ আসেনি। তাই তারা এলেন না হয়তো এই ডেপুটেশনে। কিন্তু পদে থেকে নিজেদের শাসক দলের লোক বলে দাবি করা টিসিএর সভাপতি,সচিব ও কোষাধ্যক্ষ বাবু কিভাবে করলেন এই কাজটি। সিট পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অর্থাৎ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। এক কথায় পুরো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক তদারকি করছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই বিষয়টা জানার পরও টিসি এর প্রতিনিধিরা কি করে পুলিশ মহা নির্দেশকের কাছে দিলেন ডেপুটেশন। এতে তো স্পষ্ট ,তারা মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধেই পথ চলতে শুরু করেছেন এখন। যে মুখ্যমন্ত্রীর দোহাই দিয়ে তারা নতুনভাবে টিসিএ দখল করলেন, আজ সেই মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি কি তাদের আস্থা নেই, প্রশ্ন উঠছে এই নিয়ে অবিরাম। যদি আস্থা থাকতো তাহলে তো তারা পুলিশ মহানির্দেশকের কাছে ডেপুটেশন দিতেন না। কেননা পুলিশ মহা নির্দেশকতো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের মধ্যেই রয়েছে। এই নিয়ে এখন উঠছে হাজারো প্রশ্নের ঝড়। কার স্বার্থে কিংবা কার প্ররোচনায় দেওয়া হল এই ডেপুটেশন, জানতে চাইছে গোটা রাজ্যবাসী।