জনসচেতনতার মাধ্যমে সমবায় আন্দোলনকে আরো শক্তিশালী করতে গুরুত্ব মুখ্যমন্ত্রীর
আগরতলা, Feb 04, 2025, ওয়েব ডেস্ক থেকে
সমবায় ক্ষেত্রে উন্নয়নের মাধ্যমে দেশকে শক্তিশালী করা সম্ভব হবে। এতে রাজ্যের পাশাপাশি দেশও অধিক শক্তিশালী হবে। সমবায়কে কেন্দ্র করে রাজ্যকে দারিদ্র্যমুক্ত করা সম্ভব হবে। শুধু তাই নয়, দুর্নীতিমুক্ত করা সম্ভব হবে।
মঙ্গলবার আগরতলার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে আয়োজিত “সমবায়ের প্রচার ও উন্নয়ন” সম্পর্কিত একদিনের রাজ্যভিত্তিক সম্মেলনের উদ্বোধন করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। জাতীয় সমবায় ইউনিয়ন এবং রাজ্য সমবায় দপ্তর ও ইউনিয়নের যৌথ উদ্যোগে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, এই ধরনের কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে জনসচেতনতা। মানুষের মধ্যে সমবায় সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা এর অন্যতম লক্ষ্য। সচেতনতা না থাকায় আমরা অনেক কিছু জানি না। আমাদের যশস্বী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশকে শক্তিশালী করে তোলার লক্ষ্যে কাজ করছেন। বিশেষ করে দেশকে আর্থিকভাবে উন্নত করার জন্য চেষ্টা করছেন তিনি। কিছুদিন আগে রাজ্যে অনুষ্ঠিত নর্থ ইস্ট কাউন্সিলের ৭২তম প্ল্যনারী সেশনে সমবায়ের সঙ্গে যুক্ত বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ অংশ নিয়েছিলেন। সমবায় আন্দোলন হচ্ছে একটা রক্তপাতহীন আন্দোলন। এই আন্দোলনের মাধ্যমে সমাজ কিভাবে শক্তিশালী হবে সেটা অনুমান করা যায় না। বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায় যে সমবায় সমিতিগুলি রয়েছে সেগুলিকে শক্তিশালী করা গেলে দেশ আর্থিকভাবে এগিয়ে যাবে। এখন অর্থনীতির দিক দিয়ে সারা বিশ্বে পঞ্চম স্থানে রয়েছে ভারত। যেটা আগে ছিল ১১তম স্থানে। আর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শাসনকালে এটা সম্ভব হয়েছে। এখন অর্থনীতির দিক থেকে তৃতীয় স্থানের কথা চিন্তা করছি আমরা। এই সমবায় সেক্টর উন্নত হলেই আগামীদিনে আমরা তৃতীয় স্থানে আসতে পারবো। সেই লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে। তবে শুধু মুখে বললে হবে না, কাজেও সেটা করে দেখাতে হবে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্য স্তরের সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে সমবায়ের মাধ্যমে যে সফলতা এসেছে এবিষয়ে আলোচনা করা। সফলতার পাশাপাশি অসফল দিকগুলি নিয়েও এই সম্মেলনে আলোচনা করা দরকার। যাতে সাফল্য না পাওয়ার কারণগুলি যথাযথভাবে উঠে আসে। আগামীদিনে আমাদের দিশা কি হবে, নির্দেশিকা কি হবে - সেসব বিষয়েও আলোচনা হবে এই সম্মেলনে। আর আগে এই সমবায় দপ্তর প্রাণহীন ছিল। কিন্তু এখন সেটা নেই। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ২০২১ সালে সমবায় মন্ত্রক হওয়ার পর এবং এই মন্ত্রকের মন্ত্রী হিসেবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দায়িত্ব গ্রহণের পর সমবায় ক্ষেত্রে গতি এসেছে। ত্রিপুরা সরকারের সমবায় দপ্তর প্রতি বছরই সমবায় সপ্তাহ উদযাপন করে। সেখানে আলোচনা সভা, প্রতিযোগিতা সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি করা হয়। এধরণের কর্মসূচির মাধ্যমে জনসচেতনতাও বৃদ্ধি পায়। ত্রিপুরা রাজ্যের প্রায় ৪০ লক্ষ মানুষের মধ্যে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ৯ লক্ষ মানুষ সমবায় সমিতির সঙ্গে যুক্ত। বাকি মানুষের কাছেও সমবায়ের চিন্তাভাবনা নিয়ে যেতে হবে