ড্রিলিং মেশিন ভেঙে চুরমার, শ্রমিকদের উদ্ধারের প্ল্যান-বি কী?
Agartala, Nov 25, 2023, ওয়েব ডেস্ক থেকে
কেটে গিয়েছে ১৩টা দিন। ১৪ দিনের মাথায় এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি উত্তরকাশীর সিল্কিয়ারা টানেলে আটকে পড়া শ্রমিকদের। সুড়ঙ্গের ভিতর এখনও আটকে রয়েছেন ৪১ জন শ্রমিক। শ্রমিকদের উদ্ধারকাজ অব্যাহত রয়েছে। তবে বারবারই উদ্ধারকাজে আসছে একের পর এক বাধা। মাঝেমধ্যেই বন্ধ করে দিতে হচ্ছে উদ্ধার অভিযানে। উদ্ধার অভিযানে ব্যবহার করা হচ্ছিল অগার মেশিন। সেই মেশিনটি সম্প্রতি লোহা-ইস্পাতের টুকরোর সঙ্গে ধাক্কা লেগে ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছে।
সুড়ঙ্গের ভিতরে শ্রমিকদের কাছে পৌঁছতে এখনও বাকি ১০ মিটার। এই পর্যায়ে পৌঁছে অগার মেশিন ভেঙে যাওয়ায় ম্যানুয়াল ড্রিলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ এবার পাথর ভাঙার কাজ করবে মানুষই। তেমনটা হলে ৪১ জন শ্রমিককে সুড়ঙ্গ থেকে উদ্ধার করতে আরও অনেক বেশি সময় লাগবে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রশাসনিক সূত্রে দাবি, পাথর ভাঙতে আরও ৩-৪ দিন সময় লাগতে পারে। দিল্লি থেকে উড়িয়ে আনা হচ্ছে পাথর কাটায় দক্ষ চার শ্রমিককে। রবিবার থেকে পাথর ভাঙার কাজে নামবেন তাঁরা।
এদিকে শনিবার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী। উদ্ধার অভিযানের হালহকিকত সম্পর্কে খোঁজখবর নিচ্ছেন তিনি। সাংবাদিক প্রশ্নের উত্তরে ধামি জানিয়েছেন, শ্রমিকদের উদ্ধারকাজে সবরকম টেকনোলজি ব্য়বহার করা হবে। আটকে পড়া শ্রমিকের মধ্যে কয়েকজনের তাঁর কথাও হয়েছে বলে জানিয়েছেন ধামি। পুষ্কর সিং ধামি বলেন, 'আমি কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেছি। ওঁরা জানিয়েছেন ভালো আছেন। সঠিক সময়ে খাবার-জল পাচ্ছেন সকলে। ওঁদের একটাই দাবি, সুরক্ষিত ভাবে উদ্ধার করা হোক। মানসিক ভাবেও শক্ত রয়েছেন ওঁরা। রোজই পরিস্থিতির রিপোর্ট নিচ্ছেন মোদী। বিকল্প পথে উদ্ধারের উপরেও জোর দেওয়া হচ্ছে। আরও যন্ত্র নিয়ে আসা হচ্ছে।' উল্লেখ্য যে অগার ড্রিলিং মেশিটিন আটকে রয়েছে সুড়ঙ্গ মুখে সেটিকে কেটে বের করার জন্য নতুন একটি মেশিন আনা হচ্ছে। শনিবার সন্ধ্যার মধ্যে সেটি এসে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। শনিবার থেকে শুরু ভার্টিক্যাল ড্রিলিংয়ের কাজ।
প্রসঙ্গত, উত্তরকাশীর সিল্কিয়ারা ও দণ্ডলগাঁওয়ের মাঝে তৈরি হচ্ছিল ওই সুড়ঙ্গটি। টানেলটি সাড়ে চার কিলোমিটার লম্বা। তারই মধ্যে ১৫০ মিটার লম্বা এলাকা জুড়ে আচমকাই ধস নামে। ১২ নভেম্বর বেলার দিকে আচমকা ধস নামে নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গে। আটকে পড়েন ৪১ শ্রমিক। তাঁদের মধ্যে বাংলারও তিনজন রয়েছেন।