প্রকাশ্য দিনের বেলায় বি.এস.এফ এবং বাংলাদেশের নাগরিকদের মধ্যে হাতাহাতি।
আগরতলা, Jan 07, 2025, ওয়েব ডেস্ক থেকে 2024
প্রকাশ্য দিনের বেলায় বি.এস.এফ এবং বাংলাদেশের নাগরিকদের মধ্যে হাতাহাতি। এমনকি বি.এস.এফের বন্দুক ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা এবং বি.এস.এফ জওয়ানদের ধারালো দা দিয়ে কুপাতেও চেস্টা করে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটে কৈলাসহরের মাগুরুলী গ্রাম পঞ্চায়েতের ভারত বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সীমান্তের ৪৭নং পিলারের কাছে। ঘটনার বিবরণে জানা যায় যে, মাগুরুলী গ্রাম পঞ্চায়েতের ভারত বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে মংগলবার দুপুরে বাংলাদেশের নাগরিক তথা বাংলাদেশের ব্ল্যাকাররা ভারতের সীমান্ত থেকে বিড়ি নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। সেসময় টহলরত দুইজন বি.এস.এফ জওয়ান বিড়ি পাচারে বাঁধা দিলেও বাংলাদেশের ব্লেকাররা বি.এস.এফের আপত্তিকে পাত্তা না দিয়ে বিড়ি পাচার অব্যাহত রাখে। একটা সময় বাংলাদেশের ব্লেকাররা দুই বি.এস.এফ জওয়ানকে বিশ্রী ভাষায় গালিগালাজ করে এবং বি.এস.এফকে চ্যালেঞ্জ করলে দুই বি.এস.এফ জওয়ান বাংলাদেশের ব্লেকাদের ধরার জন্য দৌড়াতে থাকে এবং কাঁটাতারের ভিতরে অর্থাৎ বাংলাদেশের ভিতরে ঢুকে ব্লেকারদের দৌড়াতে থাকে এবং বাংলাদেশের কয়েকটি বাড়িতে ঢুকে ব্লেকারদের খোঁজতে শুরু করে। পরবর্তী সময় দুই বি.এস.এফ জওয়ান ভারতের অংশে আসতে শুরু করলে ঘটনাস্থলে এসে হাজির হয় বাংলাদেশের বি.ডি.আর তথা সীমান্ত রক্ষীরা। বি.ডি.আর দুই বি.এস.এফ জওয়ানদের সাথে আলাপ আলোচনা করতে শুরু করে। সেসময় বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট গ্রামের মানুষেরা উত্তেজিত হয়ে দুই বি.এস.এফ জওয়ানের উপর আক্রমণ করতে শুরু করে।
এমনকি বি.এস.এফ জওয়ানের কাছ থেকে জোর করে বন্দুক ছিনিয়ে নেওয়ারও চেস্টা করে। যদিও বাংলাদেশের এক বি.ডি.আর জওয়ান দুই বি.এস.এফ জওয়ানকে বাঁচাতে চেস্টা করে। একটা সময় বাংলাদেশের নাগরিকরা বি.এস.এফ জওয়ানের উপর ধারালো দা দিয়ে কুপাতেও চেস্টা করে এবং দুই বি.এস.এফ জওয়ানদের বিশ্রী ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে। এমনকি বি.এস.এফ জওয়ানদের হিন্দু বলেও কটাক্ষ করতে শোনা যায়। তাছাড়া বাংলাদেশের নাগরিকরা বি.এস.এফের উপর মিথ্যা অভিযোগ করে যে, বি.এস.এফ জওয়ানরা বাংলাদেশে গুলি করেছে এবং বাংলাদেশের মহিলাদের সাথে খারাপ আচরণ করেছে বলেও মিথ্যা অভিযোগ তোলে বাংলাদেশের নাগরিকরা বি.এস.এফের উপর আক্রমনের চেস্টা করে। এই অবস্থা চলাকালীন ধীরে ধীরে বি.এস.এফ জওয়ানের সংখ্যা বাড়তে থাকে। বি.এস.এফ জওয়ানদের সংখ্যা বাড়তে দেখে বাংলাদেশের নাগরিকরা বাধ্য হয়ে পিছু হটতে শুরু করে। এই ঘটনায় মাগুরুলী গ্রাম পঞ্চায়েতের ভারত বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সীমান্ত এলাকায় তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে।