রামনগরের বাম আমলের ভূত এখনো সাবলীল টিসিএতে
![newsagartala24.com Images](https://newsagartala24.com/backOffice/NewsImages/3185.jpg)
আগরতলা, Nov 28, 2024, ওয়েব ডেস্ক থেকে 2024
অতীতে রামনগরের ছায়া আজো বলিয়ান টিসিএতে। তৎকালীন সময় তখন বাম জমানা।প্রয়াত সমীরণ চক্রবর্তী ছিলেন টিসিএর সচিব।সেই সময় রামনগরের এক নাম করা ঠিকাদার তার নিজের কাজের সূত্রে টিসিএর তহবিল থেকে অর্থ নিয়েছিলো। যা হয়তো আজ পর্যন্ত ফেরত পায়নি টিসিএ।বাম মার্গীয় সেই বিশেষ এলাকার এক কর্মকর্তার নির্দেশে স্টেডিয়ামের টেন্ডার হয়ে ও পরবর্তীতে বাতিল হয়ে যায়।এরপর সেই রামনগর এলাকার এক কর্মকর্তা টিসিএর কর্মকর্তা হন। তখন থেকেই শুরু হয়ে যায় আর ও অনিয়ম।সেই কর্মকর্তা নিজের ভুয়ো সংস্থাকে দিয়ে মাঠ সংস্কার থেকে শুরু করে বিভিন্ন অনৈতিক কাজ করে সেই টাকা দিয়ে নিজের ও বিশেষ এক রাজনৈতিক দলের ফান্ডকে সমৃদ্ধ করে। সময়ের সাথে পরিবর্তন হয়। এই পরিবর্তনে রামনগর এলাকার আরেক এক ক্লাব কর্মকর্তা মুখ্যমন্ত্রীর কাছের লোক বলে নিজের জায়গা বানিয়ে নেন বাম নেতৃত্বের নির্দেশে নাকি। এরপর শুরু হয়ে যায় আর ও লুটপাট টিসিএতে। সেই কর্মকর্তার পরিবারের প্রতিটি লোক এখনো রাস্তাঘাটে মেলার মাঠের এক রাজনৈতিক দলের হয়ে গলা ফাটান, টিসিএ সূত্রের খবর, সমীরণ চক্রবর্তী যখন মৃত্যুশয্যায় তখন তিনি আফসোস করে বলেছিলেন, মৃত্যুর আগে ও টিসিএর এই টাকাটা ফেরত দিতে পারলাম না টিসিএর তহবিলে। সূত্রের খবর রামনগরের সেই লবি তখন ও বলিয়ান ছিল,এখনো টিসিএতে রামনগরের সেই সেন গোষ্ঠীর লবি ই বলিয়ান। না হলে বর্তমানে টিসিএতে রামনগরের যারা রয়েছেন এর মধ্যে এই এলাকার একটি ক্লাবের কর্মকর্তার দাবরানি এতটাই বেশি যে, তিনি নিজের মর্জি মতোই সব কিছু করে চলেছেন। ও হয়তো না জানার ভান করছেন। জানবেন ই বা কি করে। প্রাপ্ত খবর এরকম যে, তিনি তো টিসিএতে আসেন শুধু চা খেতে আর গল্প গুজব করতে। কি চলছে টিসিএতে তা গোল্লায় যাক। অভিযোগ এমন,রাজ্যদল গঠন থেকে শুরু করে ক্লাবের দল গঠন, দলবদল সহ বিভিন্ন দলের সাথে ম্যানেজার ও লজিস্টিক ম্যানেজার কারা হবেন টাকা বাবুই তা ঠিক করে দিচ্ছেন। নির্বাচক কমিটির সাথে ও তার খুব একটা বনিবনা নেই। প্রাপ্ত খবর এরকম যে,এই কর্মকর্তাই নির্বাচকদের বাছাই করে দিচ্ছেন কারা সেরা একাদশে খেলবে আর কারা স্কোয়াডের বাইরে থাকবে। টুর্নামেন্ট কমিটির আরেক নেতা যার বড় ভাই এক সময় টি সি এর সচিব ছিলেন, এবং পরবর্তীতে শোনা যায় ওই নেতা বহির রাজ্যের প্লেয়ারদের থেকে টাকা নিয়ে নিজের ক্লাবে খেলাতেন, তিনিও টাকা বাবুর কথা মত ক্রিকেট সিজেনটাকেই বদলিয়ে দিয়েছেন, দলবদল না হওয়ার ফলে প্লেয়ারদেরকে রঞ্জি ট্রফি খেলিয়ে দেবেন এই কথা বলে ক্লাবের কাগজে সই করিয়ে আগামী মৌশমের জন্য বিনা পয়সায় নিজের ক্লাবে সই করিয়ে রাখছেন। টাকা বাবু, মাইক বাবু ও টুর্নামেন্ট কমিটির ওই কর্মকর্তা নিজের পছন্দের লোকদের বহি রাজ্যে বিভিন্ন দলের সাথে ম্যানেজার কিংবা লজিস্টিক ম্যানেজার বানিয়ে পাঠাচ্ছেন। এর মধ্যে সদ্য দেরাদুনে রয়েছে জাতীয় আসর খেলতে অনুর্ধ ১৫ মহিলা দল। এই দলের লজিস্টিক ম্যানেজার হচ্ছেন টি এফ এর যুগ্ম সচিব পার্থ সারথি গুপ্ত। যিনিই টিসিএর পুরাতন কমিটির বিরুদ্ধে আজীবন সদস্য হয়ে আদালতে মামলা করেছিলেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে নতুন কমিটি এলো ফের টিসিএতে।প্রাক্তন ক্রিকেট প্রেমীদের প্রশ্ন হলো, পার্থ সারথি গুপ্তকে দেরাদুনে পাঠিয়ে কি সন্মান জানালো টিসিএ। কেন না তিনি তো ফুটবলের লোক। তাকে পাঠিয়ে প্রতিদিন দেয়া হচ্ছে দুই হাজার টাকা, সঙ্গে ফাইভ স্টার হোটেলে থাকা খাওয়া ফ্রি। দেরাদুনে জাতীয় অনুর্ধ ১৫ রাজ্যদলের হাল যে কি তা হয়তো আপনারা সবাই জানেন। চার ম্যাচে চারটিতেই হারলো রাজ্যদল। এই হলো টিসিএর ক্রিকেট বিপ্লব। যা খুশি চলছে এখন টিসিএতে।আর বর্তমান কমিটির মুখে মুখেই ঘুরছে স্বচ্ছতা।।।